এনিমেল মুভি রিভিউ

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেল রণবীর কপুর আর রশ্মিকা মন্দানার বহু প্রতীক্ষিত ছবি অ্যানিম্যাল। প্রভাবশালী আর ধনী বাবার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে তাঁর ছেলে। সেই রকম পরিস্থিতিতে বাবার উপর হামলা করা হলে একেবারে ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে ভালোবাসার কাঙাল ছেলেটি। প্রতিশোধ নেওয়ার আগুন জ্বলতে থাকে তাঁর ভিতর। যাঁরা তাঁর বাবাকে মেরেছে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের শিকার করাই তার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে। অ্যানিমলের এই প্রেক্ষাপটটাই গল্পের প্রতিটি পরতে পরতে দর্শকের উত্তেজনাকে উসকে দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাবার ভূমিকায় রয়েছেন বলিউডের সিনিয়ার সুপারস্টার অনিল কপুর আর ছেলের চরিত্রে রণবীর কপুর।

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেল রণবীর কপুর আর রশ্মিকা মন্দানার বহু প্রতীক্ষিত ছবি অ্যানিম্যাল। প্রভাবশালী আর ধনী বাবার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে তাঁর ছেলে। সেই রকম পরিস্থিতিতে বাবার উপর হামলা করা হলে একেবারে ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে ভালোবাসার কাঙাল ছেলেটি। প্রতিশোধ নেওয়ার আগুন জ্বলতে থাকে তাঁর ভিতর। যাঁরা তাঁর বাবাকে মেরেছে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের শিকার করাই তার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে। অ্যানিমলের এই প্রেক্ষাপটটাই গল্পের প্রতিটি পরতে পরতে দর্শকের উত্তেজনাকে উসকে দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাবার ভূমিকায় রয়েছেন বলিউডের সিনিয়ার সুপারস্টার অনিল কপুর আর ছেলের চরিত্রে রণবীর কপুর।

অ্যানিম্যাল দেখতে গিয়ে ফিল্ম সমালোচকদের একটা বিষয়ে উপলোব্ধি হয়েছে। আর সেটা হল রক্ত জলের মতো তরল নয়। অনেকটাই ঘন। সম্পর্কের বাঁক গল্পে যতই প্রকট হোক না কেন পরিবারের নিরাপত্তা ও ঐক্য একদম মজবুত। একছাদের নীচে সব রকমের ফ্লেভার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। দুর্ধর্ষ অ্যাকস্ন সিক্যোয়েন্স, চরম রক্তপাত, আবেগ-ভালোবাসার টানাটান উত্তেজনায় ভরপুর তিন ঘণ্টা ২১ মিনিট, একেবারে পয়সা উসুল।

সিনেমায় রণবীরের চরিত্রের নাম বিজয়। যখন তাঁর বাবাকে গুলি করা হয় তখন বিজয় নিজেকে পরিবারের সদস্য হিসাবে ঘোষণা করে আর সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়। বাবাকে প্রতিশ্রুতি দেয় পরিবারের উত্তরাধিকারের ভূমিকা নিষ্ঠা সহকারে পালন করবে। তবে প্রথমে বাবাকে আঘাতের প্রতিশোধ নেবে। এবার একটু আসা যাক প্রেমের বিষয়ে। গীতাঞ্জলির চরিত্রে দুর্ধর্ষ রশ্মিকা মন্দানা। রণবীরকে ভাই বলে সম্বোধন করলে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বিজয় তাঁর নিতম্বের প্রশংসা করে।

লাভ মেকিংয়ের জন্য ব্যক্তিগত জেটে নিয়ে যায় বিজয়। গল্পের প্রেক্ষাপট, হলে বসে উপভোগ করার মতোই। তবে একটা সমস্যা, যেন চিত্রনাট্যে কোথাও একটা উদ্দেশ্যের অভাব রয়েছে। গল্পটা কেন এগুচ্ছে বা কী জন্য এগুচ্ছে সেটা মোটেই স্পষ্ট নয়। বন্দুকবাজ রণবীরের ওই রুদ্রমূর্তি ইমেজ এই ছবিতে যেন অর্থহীনভাবেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বাবা-ছেলের সম্পর্কের বিরোধ, যা গল্পের মূল ভিত্তি তৈরি করে তা অনাবিষ্কৃতই থেকে যায়। সিনেমা জুড়ে শুধুই রণবীর। অনিল কাপুর এবং ববি দেওল যেন চিত্রনাট্যে ব্রাত্য। তবে অ্যাকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর আর মিউজিক ফাটাফাটি। সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি দর্শককে আকৃষ্ট করবে সেটা হল রণবীর কাপুরের ডিরেক্ট যৌন আবেদন। রক্তে ভেজা চোখে যেন আগুন জ্বলছে, রণবীরের এই আক্রমনাত্মক লুকটা অ্যানিমলের ইউএসপি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow